
যাচাই-বাছাইয়ের জন্য চার লাখ ৯২ হাজার ৩০২ জন রোহিঙ্গার তালিকা মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ। বুধবার (১৮ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং চ মো কে ডেকে পাঠিয়ে ওই তালিকা হস্তান্তর করা হয়। এর আগে, তিন দফায় ৮৩ হাজার ৫৮৫ জনের তালিকা দিয়েছিল বাংলাদেশ এবং এরমধ্যে ১০ হাজারের কম রোহিঙ্গার যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে মিয়ানমার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা ইতোমধ্যে প্রায় ছয় লাখের তালিকা দিয়ে দিয়েছি এবং বাকিদের তালিকাও শিগগিরই হস্তান্তর করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তালিকা পরিবারভিত্তিক অর্থাৎ একটি পরিবারের সব সদস্যকে একটি ইউনিট হিসেবে ধরে তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে।’
শেষ তালিকায় কত পরিবারের তথ্য দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এক লাখ পাঁচ হাজার ৪৬৯ পরিবার।
এভাবে তালিকা দেওয়ার সুবিধার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এককভাবে তালিকা দিলে এক পরিবারের একজন সদস্যকেও যাচাই-বাছাই না করা হলে ওই পরিবার যেতে চাইবে না। এখন একটি গোটা পরিবার একসঙ্গে যাচাই-বাছাই হবে।’
তিনি আরও জানান, আমরা যখন তালিকা প্রস্তুত করেছি ,তখন গোটা পরিবারের তথ্য, মিয়ানমারে তাদের ঠিকানা, তাদের ছবি ও হাতের ছাপ নিয়ে রেখেছি যাতে করে সামগ্রিক তথ্যভাণ্ডার তৈরি হয়।
ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট
অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশি পাসপোর্ট সংগ্রহ করেছে এবং ব্যবহার করে বিদেশে গিয়েছে বলে অভিযোগ আছে। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে রোহিঙ্গাদের গোটা তথ্যভাণ্ডার ডিপার্টমেন্ট অব পাসপোর্ট অ্যান্ড ইমিগ্রেশন (ডিআইপি) এবং স্পেশাল ব্রাঞ্চকে (এসবি) হস্তান্তর করা হবে।
এ বিষয়ে অপর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স এ বিষয়ে কয়েক মাস আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাতে করে কোনও রোহিঙ্গা বাংলাদেশি পাসপোর্ট না পায়।’
আমাদের গোটা ডাটাবেস তৈরি হয়ে গেলে এটি ডিআইপি ও এসবিকে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা সব রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক (একজনের শরীরের যাবতীয় তথ্য যেমন চোখের রং, হাতের ছাপ, কোনো বিশেষ চিহ্ন) নিয়ে রেখেছি, যাতে করে তাদের চিহ্নিত করতে সহজ হয় এবং তারা যেন কোনোভাবেই বৈধপথে পাসপোর্ট পেতে না পারে।
সুত্র: বাংলা ট্রিবিউন
পাঠকের মতামত